ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বর্ণিল আয়োজনে বিজয়ের ৪৯ বছর উদযাপন হচ্ছে রাজশাহীতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
বর্ণিল আয়োজনে বিজয়ের ৪৯ বছর উদযাপন হচ্ছে রাজশাহীতে

রাজশাহী: সুবর্ণ জয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ। তাই এবছর অনেকটা ভিন্ন আবহেই মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করছে রাজশাহীর মানুষ। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে উদযাপন করা হচ্ছে বিজয়ের ৪৯ বছর।

মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে বিজয় দিবস উদযাপন শুরু হয়।

দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহীবাসী যেমন মেতেছেন বিজয়ের আনন্দে, তেমনি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের।

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই রাজশাহীর প্রতিটি শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে।

রাজশাহী মহানগরীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনার ও রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পরে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

এরপর রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আব্দুল জলিল, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো.আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়াও এখানে পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রেঞ্জ এবং জেলা আনসার, বনবিভাগ, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও ডাকবিভাগসহ বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  

এর আগে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্ক শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।  

পরে সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া এ সময় দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এদিকে করোনার কারণে এবার রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে প্রদর্শন করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও। জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনও দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে রাজশাহীতে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামীলীগ তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের। রাজশাহীর সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওয়ার্ড-কার্যালয়গুলো থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ এবং দেশাত্ববোধক গান।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সব সরকারি হাসপাতাল, শিশুসদন ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিবেশন করা হচ্ছে উন্নতমানের খাবার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।