ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ভবদহের জলবদ্ধতা নিরসনে টিআরএম বাস্তবায়নের বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
‘ভবদহের জলবদ্ধতা নিরসনে টিআরএম বাস্তবায়নের বিকল্প নেই

যশোর :  যশোরের দুঃখ ভবদহের জলাবদ্ধতা স্থায়ী নিরসনে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) বাস্তাবয়নের বিকল্প নেই। একই সঙ্গে শুধুমাত্র আমডাঙ্গা খালের আড়াই কিলোমিটার খনন ও প্রশস্তকরণ করলেই ওই অঞ্চলের জলবদ্ধতার ২৫শতাংশ সমাধান সম্ভব হবে ।

 

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘যশোর জেলাধীন ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার বর্তমান সমস্যা ও সমাধানে করণীয়’ বিষয়ক সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তকে সুপারিশ আকারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। ওই সভায় ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি ও ভবদহ জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভবদহ এলাকার মানুষের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে দীর্ঘদিন ভবদহ মানুষের মানুষ কষ্টে আছে। ভবদহ অঞ্চলে ৭৫হাজার হেক্টর জমির মতো জলাবদ্ধতায় ভুগছে। তার মধ্যে চার হাজার হেক্টর জমি ভয়াবহ জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে। দ্রুত এর স্থায়ী সমাধানের জন্য একমাত্রই পথ হলো টিআরএম বাস্তবায়ন। ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে দূর করতে আমডাঙ্গা থেকে শিবসা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার খাল খনন ও প্রশস্ত করতে হবে। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ৫০কোটি টাকার মধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার ২৫ শতাংশ নিরসন সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য আরও বলেন, টিআরএম বাস্তবায়নে কয়েকটি বিষয়ে এলাকার মানুষকে স্পষ্ট করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষীর ক্ষতিপূরণের টাকা সহজেই তার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করে ক্ষতিপূরণ বিতরণ করতে হবে। নিষ্কণ্টক জমির মালিক যেন হয়রানির শিকার না হয়। কত বছরের জন্য কৃষকের জমিতে টিআরএম বাস্তবায়ন হবে, সেটি তাদেরকে পরিষ্কার করতে হবে। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে জলাবদ্ধতা নিরসনে টিআরএম দরকার। এজন্য তাদেরকে নিয়েই টিআরএম বাস্তবায়ন করতে হবে।  একই সঙ্গে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয়দের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।  

জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে আজকের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত সুপারিশ আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভবদহ জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক বাবুল, সদস্য কামরুজ্জামান, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, সদস্য সচিব চৈতন্য পাল, মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ, মফিজুর রহমান নান্নু, প্রদীপ হালদার, মুক্তিযোদ্ধা সুধীর কুমার পাড়ে, মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
ইউজি/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।