ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বামনায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা, বাবা-মাকে হত্যার হুমকি

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
বামনায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা, বাবা-মাকে হত্যার হুমকি

বরগুনা: বরগুনার বামনা উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করায় আসামিরা তার মাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় আসামিরা ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার না হওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ছাত্রীর মা।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ওই ছাত্রীর মা।

তিনি বলেন, ১ নভেম্বর দুপুরে প্রতিবেশী হযরত আলীর ছেলে ওহাব (৩৫) তার মেয়েকে জোর করে ওহাবের বাড়ির সামনে ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন ছাত্রী চিৎকার করলে তার বাবা তাকে উদ্ধার করে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আইয়ুব আলী, বাবুল ও ইউসুফ এসে ওই ছাত্রীর বাবাকে মারধর করে। মেয়ের সামনে বাবাকে বিবস্ত্র করে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তার বাবাকে রক্ষা করে।

এ ঘটনায় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওহাবসহ চার জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি বামনা থানায় এজাহার হওয়ার পর ওই ছাত্রী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনার পর আসামিরা আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেছে। আসামিরা পুলিশের সঙ্গে ঘোরাফেরা করে অথচ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আসামিরা আমাদের মামলা তুলে নিতে বলে। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে। আসামিদের ভয়ে আমরা মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

এদিকে আসামি ওহাবের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বামনা থানার উপপরিদর্শক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আসামিরা এলাকায় নেই। তাদের ফোনও বন্ধ। তারপরও তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে প্রাথমিক তদন্তে যতটুকু জেনেছি ঘটনা অন্য রকম। একটি হাঁস নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।