ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে মাদক ও টাকার অবৈধ ব্যবসা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে মাদক ও টাকার অবৈধ ব্যবসা!

মেহেরপুর: গাংনীর কৃষক উজ্জল হোসেন অপহরণের প্রধান আসামি বিনয় কুমার স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে স্বর্ণপাচার, মাদক ও ভারতীয় টাকার অবৈধ ব্যবসা। এসব অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের একাধিক ব্যক্তি।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে পুলিশের দাবি। বিষয়টি আরো গভীরভাবে খতিয়ে দেখতেই অপহরণ মামলায় আটক আসামি স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয় কুমার, বিকাশ ব্যবসায়ী সাফায়ত হোসেন ও খালেদ হোসেনকে আদালতে দাখিল করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

মামলার তদন্তকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) নুর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব আসামিদের আদালতে দাখিল করে পুলিশ।  

কৃষক উজ্জল হোসেন অপহরণের ঘটনায় অপরাধ পূর্বক আটক রেখে চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন অপহৃত উজ্জল হোসেনের বাবা মাফিজুর রহমান। মামলা নম্বর ১৩।

মামলায় বিনয় কুমার সাফায়ত হোসেন ও খালেদ হোসেন ছাড়াও অজ্ঞাত তিন চারজনকে আসামি করা হয়েছে।  

এর আগে, প্রধান আসামি বিনয় কুমারের স্বীকারোক্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অপহৃত উজ্জল হোসেনকে গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রাম থেকে উদ্ধার করেন গাংনী থানা পুলিশ।  

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিনয় কুমার স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে ভারতে স্বর্ণ পাচার করতেন এবং ভারত থেকে নিয়ে আসতেন ফেনসিডিল। তার রয়েছে ভারতীয় টাকার অবৈধ ব্যবসা। বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা বা অন্য কোনো বিষয়ে গমনকারীদের সঙ্গে টাকার অবৈধ ব্যবসা করে থাকেন তিনি। চড়া দামে টাকার এ অবৈধ ব্যবসা করে থাকে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে জয় সীমান্তবর্তী তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের মাফিজুর রহমানের ছেলে উজ্জল হোসেনকে মোটরসাইকেল করে তুলে নিয়ে যায়। পরে ভারতের ভূখণ্ড থেকে হাফিজ পরিচয় দিয়ে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তাদের দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। এসময় গাংনী থানা পুলিশের একটি দল গাংনী উপজেলা শহরে অবস্থিত সাফায়তের মোবাইল ব্যাংক এজেন্টের সামনে উপস্থিত হন। মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয় কুমার। পরে তার স্বীকারোক্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অপহৃত উজ্জল হোসেনকে উদ্ধার করেন গাংনী থানা পুলিশ।  

বাংলাদেম সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।