ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জন্ম নিবন্ধনের নতুন সার্ভারে কারিগরি জটিলতায় ভোগান্তি

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২১
জন্ম নিবন্ধনের নতুন সার্ভারে কারিগরি জটিলতায় ভোগান্তি

ঢাকা: পুরনো থেকে নতুন সার্ভারে যাচ্ছে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ব্যবস্থা। আর এই ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছে সার্ভার জনিত কারিগরি জটিলতা।

ফলে দেশের অনেক স্থানেই জন্ম নিবন্ধন করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কয়েকটি আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে নাগরিকদের ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অনেককেই সনদ না নিয়ে ফিরে যেতে হয়। বিশেষ করে নতুন বছরে স্কুলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এ নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) এক আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে ফিরে আসতে হয় ব্যবসায়ী আমিনউদ্দিন অর্ণবকে।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ব্যবসা ফেলে রেখে এখানে দুই দিন ধরে ঘুরছি। প্রতিদিনই শুনি সার্ভার ডাউন। রোজ রোজ কীভাবে আসি? আবার এদিকে স্কুলে জন্ম নিবন্ধন জমা দিতে হবে। এখান থেকে বলে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কথা। কিন্তু সেখানে গিয়ে তো নিবন্ধন পাব না। নিবন্ধন নিতে হবে এখানেই।

জানা যায়, সারা দেশে ১২টি সিটি করপোরেশনের ১২৪টি আঞ্চলিক অফিস, ৩২৯টি পৌরসভা, চার হাজার ৫৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১৫টি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং ৪৪টি দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৫৫টি দূতাবাস বা মিশনসহ পাঁচ হাজার ১০৭টি নিবন্ধক অফিসে বর্তমানে সরাসরি ও নিয়মিত যোগাযোগ সমন্বয় করে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের কার্যক্রম চলছে।

সম্প্রতি এই কার্যক্রম নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যমে করার উদ্যোগ নেওয়া হলে সার্ভার পরিবর্তন করতে হয়। আর এতেই দেখা দেয় বিপত্তি। নতুন সার্ভারের জন্য নতুন করে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড নিতে হবে নিবন্ধক কার্যালয়গুলোকে। যেসব কার্যালয় নতুন ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড পায়নি সেসব কার্যালয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নাগরিকদের।

এ বিষয়ে জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩ জানুয়ারিতেও আমরা তাদের একটি চিঠি দিয়েছি। নতুন আইডি এবং পাসওয়ার্ডের জন্য। এখনও পাইনি।

অন্যদিকে আইডি-পাসওয়ার্ড জনিত সমস্যার জন্য তৃণমূল কার্যালয় কর্তৃপক্ষের অজ্ঞতাকে দায়ী করেছেন নিবন্ধন রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল এ কে এম মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ৩২টি জেলায় নতুন সার্ভারের কাজ ঠিক হয়ে গেছে। বাকি জেলাগুলোতে যেখানে নতুন সার্ভারে সমস্যা তাদের জন্য ব্যাকআপ হিসেবে পুরান সার্ভারও আছে। এখন যারা নতুন সার্ভারের ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড পাচ্ছেন তাদের অনেকের অজ্ঞতা এর জন্য দায়ী। তারা নতুন ইউজার আইডি তৈরি করে আমাদের কাছে পাসওয়ার্ডের আবেদন করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের কাছে পাসওয়ার্ড চলে যাবে। তারপরেও আগামী এক মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পাশাপাশি পুরান সার্ভার কিছুটা ‘স্লো’ আছে বলে স্বীকার করেছেন রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের প্রোগ্রামার ফাহমিদা শিরিন। তবে সেটিও দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২১
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।