ঢাকা: পি কে হালদারের তিন সহযোগী নেচার এন্টার প্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লিমিটেডের দুই মালিক নওশের উল ইসলাম ও মমতাজ বেগম এবং এমটিবি মেরিন লিমিটেডের আরেক মালিক সনজিব কুমার হাওলাদারকে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
এদিকে সোমবার (১১ জানুয়ারি) পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ও সাবেক পরিচালক আরেফিন সামসুল আলামিনকে তলব করা হলেও তারা দুদকে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেছেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ‘পাচার করে’ বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সাত ‘সহযোগী’কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশে সাত সহযোগীকে ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়।
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ও সাবেক পরিচালক আরেফিন সামসুল আলামিনকে ১১ জানুয়ারি, নেচার এন্টার প্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লিমিটেডের দুই মালিক নওশের উল ইসলাম ও মমতাজ বেগম ও এমটিবি মেরিন লিমিটেডের মালিক সনজিব কুমার হাওলাদারকে ১২ জানুয়ারি ও এমটিবি মেরিন লিমিটেডের আরেক মালিক বাসুদেব ব্যানার্জী এবং নেচার এন্টারপ্রাইজের মালিক পাপিয়া ব্যানার্জীকে ১৩ জানুয়ারি তলব করা হয়।
দুদকে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি থাকা অবস্থায় তার আত্মীয় স্বজনকে এবং আরও বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির ইনডিপেন্ডেন্ট পরিচালক বানান এবং একক কর্তৃত্বে পিপলস লিজিংসহ বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির টাকা বিভিন্ন কৌশলে বের করে আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পিপলস লিজিংয়ে আমানতকারীদের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে আত্মসাৎ করেন এবং এ কোম্পানিকে পথে বসিয়েছেন পি কে হালদার। তিনি এসব কোম্পানির স্থাবর সম্পদ বিক্রি করে দেন এবং আমানতকারীদের শেয়ার পোর্টফোলিও থেকে শেয়ার বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
এসএমএকে/আরআইএস