মেহেরপুর: স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক মুজিবনগর আমাদের জন্য একটি আবেগের স্থান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের চার মন্ত্রী ও বিদেশি নাগরিক, ৪৭ জন সাংবাদিক এই সড়ক ধরেই মুজিবনগরে (তৎকালীন বৈদ্যনাথতলা) এসে পৌঁছান।
তিনি বলেন, রাস্তাটি উদ্বোধন হলে, দু’দেশের মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ নানাভাবে উপকৃত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম হেলিকপ্টারে মেহেরপুর এসে পৌঁছান। পরে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এরপর বেলা ১১টার দিকে মুজিবনগর ‘স্বাধীনতা সড়ক’ পরিদর্শন করেন। সেখানেই সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহলটি মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতি মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারো মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র জায়গা ও মুক্তিযুদ্ধাদের সম্মানিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। সেজন্য ঐতিহাসিক মুজিবনগরকে ঘিরেও অনেক উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা সড়ক ও মুজিবনগরে চেকপোস্ট স্থাপন হলে দু’দেশের মানুষের মধ্যে সহজেই সেতুবন্ধন হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দু’দেশের মানুষের ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
পরে মন্ত্রী মুজিবনগরে এলজিইডি কর্তৃক নির্মাণাধীন বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর ঘিরে এই স্বাধীনতা সড়কের কাজ শুরু হবে। ঐতিহাসিক কারণেই এই রাস্তাটি হবে। রাস্তাটি ভারতের কৃষ্ণনগর হয়ে সরাসরি কলকাতায় গিয়ে পৌঁছাবে। এটি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হবে। রাস্তাটি নির্মাণ হলে দু’দেশের মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক শ্রদ্ধাবোধ, ভ্রাত্বত্ববোধ ও ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
এনটি