পটুয়াখালী: গত ৬ জানুয়ারি গোলাম মোস্তফা আকন (২৯) ও নাদিয়া আক্তার কলি (২০) দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। চারদিকে আনন্দের বন্যা।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে।
মৃত দম্পতির বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উজেলার আমখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম বাঁশবুনিয়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নামাজে জানাজা শেষে ওই দম্পতিকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে মোস্তফা আকনের সঙ্গে পটুয়াখালী জেলা শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের মেয়ে নাদিয়া আক্তার কলির বিয়ে হয়। চলতি মাসের ৬ তারিখে পটুয়াখালীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ছেলে সন্তান প্রসব করেন কলি। ক্লিনিক থেকে গত ১১ তারিখ বাড়িতে ফেরেন তিনি। কিন্তু গত বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এসময় অসুস্থ স্ত্রীর জন্য ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান স্বামী মোস্তফা, ঠিক তখনই স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোস্তফা শহরের বলহালগাছিয়ায় ফজিলাতুন্নেছা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে খণ্ডকালীন ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কলি বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ৮টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
এসআই