বরগুনা: বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর ২ কর্মী ও সমর্থককে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানায় মামলাটি করেন হামলায় আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন নৌকা প্রতীকের কর্মী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮)।
মামলায় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের ১৭ জন কর্মী ও সমর্থককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সময় বাদীর সহধর্মিণীর শ্লীলতাহানিসহ তার ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
এদিকে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) গভীর রাতের এ ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকেই তিন অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। দায়ের করা মামলায় আটক এ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে সন্ধ্যায় আদালতে পাঠায়। তারা হলেন মামলার ১২ নম্বর আসামি বাপ্পি (২৮), ১৩ নম্বর আসামি ইশতি (২৬) এবং ১৪ নম্বর আসামি রাসেল (৩০)।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের জামাতা ও তার মেয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মহসিনা মিতুলের স্বামী মো. আরিফ হোসেন খানকে (৪০)।
এছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন-আমিনুল ইসলাম সুমন (৩৫), পরান কৃষ্ণ বনিক (৫৬), লিটন বনিক (২০), জালাল ফকির (৫৫), স্বপন (৪৫), পবিত্র সমাদ্দার (৩৮), মো. ছগির হাওলাদার (৪৫), মীর আবুল কাশেম (৪৮), মো. দুলাল (৪৫), মো.সাইফুল ইসলাম রাসেল (২৮), আ. ছালাম (২৫), মো.শামিম (২৫) এবং মো. রাজিব (৩৫)।
মামলায় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত পৌনে বারোটার দিকে নিজের ঘরের সামনের রাস্তায় নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগানোর সময় বাদি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধাওয়া দেয় অভিযুক্তরা। এসময় তিনি দৌড়ে নিজ ঘরে আশ্রয় নিলে- ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে মারধর শুরু করেন অভিযুক্তরা।
এসময় তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্তরা। পরে মারধর শেষে মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাও লুটে নেয় তারা।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো.শহিদুল বলেন, এ ঘটনায় আটক ৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
জেআইএম