পাবনা (ঈশ্বরদী): প্রচার প্রচারণা শেষে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীরা বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত রাতে প্রচারণা সম্পন্ন করেছেন।
পৌরসভা নির্বাচনে ৩ জন মেয়রসহ কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৭ জন। পৌরসভার মোট ভোটার রয়েছে ৫৫ হাজার ৫৬৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৭ হাজার ২৪১ জন ও নারী ভোটার ২৮ হাজার ৩২৭ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৯টি। বুথের সংখ্যা ১৫২ টি।
ভোট গ্রহণের জন্য ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কিছু কিছু ভোটার ও প্রার্থীদের মনে রয়েছে শঙ্কা।
ঈশ্বরদী পৌরসভায় মেয়র পদে এবার ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা (নৌকা) প্রতীকে, ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন (ধানের শীষ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চরমোনাই পীর সাহেবের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহা. রেজাউল করীম মাসুম (হাতপাখা) প্রতীকে নিয়ে মাঠে রয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঈশ্বরদী পৌরসভায় ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে সকল সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে। এদিন দুপুরে প্রিজাইডিং অফিসাররা তাদের কেন্দ্রের সরঞ্জাম নিজ নিজ কেন্দ্র নিয়ে যাবে। ঈশ্বরদী পৌরসভায় ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব, আনসার ভিডিপির সদস্য ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
ভোটাররা বলছেন, এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে জয় পরাজয়।
ভোটের জরিপে দেখা গেছে, ঈশ্বরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী ইছাহক আলী মালিথার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে মাঠে রয়েছেন বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন। প্রচারণার বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে জনসমর্থন না থাকলেও শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পোস্টার ছেড়া, হামলা, অগ্নিসংযোগ, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ শুরু থেকেই।
সেদিক থেকে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইছাহক আলী মালিথা। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠ থেকে শুরু করে প্রচার প্রচারণায় মাঠ দখল করে রেখেছিলেন। মেয়র হিসাবে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিপুলভোটে জয় হবে এমনটাও মনে করছেন ভোটাররা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চরমোনাই পীর সাহেবের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহা. রেজাউল করীম মাসুম (হাতপাখা) প্রতীকে ভোটের মাঠ গোছাতে পারেননি অনেকে মনে করছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশ্বস্ত করে বাংলানিউজকে বলেন, পৌরসভায় ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ। আইননুসারে নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করতে হয়। সে হিসেবে রাত ১২টায় প্রচারণা শেষ হয়েছে। পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু করতে র্যাব, পুলিশ, বিজিপি ও আনসারের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন ৭জন ম্যাজিস্ট্রেট। ৩ প্লাটুন বিজিবিসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খলতার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা রিটার্নিং অফিসার।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
জেআইএম