নীলফামারী: তীব্র শীত, কুয়াশা ও মাঝারী শৈত্য প্রবাহে নীলফামারীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। মানুষজনের পাশাপাশি ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে গবাদিপশু ও প্রাণিকুলেও।
ফলে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। এই জনপদে প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে, ‘মাঘের জারে বাঘে কাঁদে’। অর্থাৎ ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁদে’। হঠাৎ করে শীত বাড়ায় শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে চরম বেকায়দায় পড়েছেন। শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নানা রোগ-বালাই।
জ্বর-সর্দি ও কাশিসহ নানা ধরনের অসুখ হচ্ছে। পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখও বেড়েছে। শীত থেকে বাঁচতে সব শ্রেণির মানুষ পুরনো কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। গ্রামীণ জনপদে লোকজন আগুনের কুন্ডলির সামনে বসে শীত নিবারণ করছেন আর শহরে লোকজন রুম হিটার ব্যবহার
করছেন।
এসময় গরিব ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষেরা কম্বল ও শীতবস্ত্র না পাওয়ায় কষ্টে আছেন। শীত ও কুয়াশায় মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু ও প্রাণিকুলও কষ্টে পড়েছে। অনেকে গবাদিপশুর গায়ে চট জড়িয়ে দিয়েছেন। কুকুর ও অন্যান্য অনেক প্রাণি গরমের পরশ খুঁজছে।
জেলার সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সদরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্টের সীমা নেই। বিশেষ করে নদী ও চর এলাকার মানুষেরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, বরাদ্দকৃত কম্বল ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। পুনরায় বরাদ্দের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
ইউবি