ঢাকা: নতুন এক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি না করে বরং দেশের সাত হাজার ২২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নব জাতীয়করণকৃত ও বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তারা এ দাবি জানায়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দেশের বিভিন্ন গ্রামে দুই কিলোমিটারের মধ্যে বাদ পড়া প্রায় সাত হাজার ২২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের আওতায় না এনে তড়িঘড়ি করে নতুন এক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অনৈতিক ও ভিত্তিহীন।
তারা বলেন, আমরা মনে করি শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে সরকারি নীতিমালার আওতায় থেকেও সাত হাজার ২২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনে যে অর্থ ব্যয় হবে সেই অর্থ দিয়ে প্রায় ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাৎসরিক বেতনের সমান। তাই যাচাই-বাছায়ের মাধ্যমে এ বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করা উচিত।
কর্মসূচি থেকে বক্তারা এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে করোনাকালে সব শিক্ষকদের প্রণোদনা দেওয়া, জাতীয়করণকৃত সব শিক্ষকদের স্বপদে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের গেজেট করা, প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে নির্ধারণ করা এবং বেসরকারি হিসেবে চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে ৫০ শতাংশ যোগ করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করে পদন্নতির ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
এইচএমএস/আরবি