নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামের নির্জন রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাতপরিচয় নারীর পরিচয় ও হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের চার দিনের মাথায় ওই নারীর পরিচয় ও হত্যার কারণ উদঘাটন করলেও তার মরদেহ গ্রহণ করেনি পরিবার।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রাজবাড়ি জেলার পাংশা পৌর এলাকার শম্পা খাতুন ঢাকার বিভিন্ন বারে ড্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন। এ বিষয়টি তার স্বামী ভাটা শ্রমিক পাবনার চকবারোরা গ্রামের আনছের আলী মেনে নিতে পারতেন না।
স্ত্রীকে ওই পথ থেকে ফেরাতে বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন আনছের আলী। পরে কোনো উপায় না পেয়ে গত ১৩ জানুয়ারি (বুধবার) বেড়ানোর কথা বলে আনছের আলী নাটোরের লালপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামের নির্জন রেললাইনের পাশে নিয়ে যান শম্পাকে। সেখানে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
পুলিশ সুপার বলেন, জেলা পুলিশের একাধিক টিম বিষয়টি উদঘাটনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেন এবং শম্পার স্বামী আনছের আলীকে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দিন রাতে নাটোরের গুরুদাসপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন তিনি।
এর আগে শম্পার পরিচয় শনাক্ত করার পর তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার পরিবার মরদেহ গ্রহণ করেনি। পরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গত ১৩ জানুয়ারি (বুধবার) সকালে উপজেলার সাদিপুর গ্রামের নির্জন রেললাইনের পাশে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
আরএ