ঢাকা: বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য ঢাকায় সার্বজনীন বৌদ্ধ শ্মশান নির্মাণ ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিল বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এছাড়া ‘মুজিব শতবর্ষ’ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পে (জমি আছে ঘর নেই-তাদের জন্য বাড়ি নির্মাণ) বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দুইটি বাড়ি দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে রোববার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ৯০তম বোর্ড সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবরদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান যথাযথভাবে ও সময়মত বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
রোববার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো সম্প্রদায়কে পেছনে রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলনীতি যুক্ত করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আদর্শ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়সমূহের কল্যাণ ও নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আমরা একটি সভ্য দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বন্ধ পরিকর। সেই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান-১ ও সংসদ সদস্য (এমপি) রমেশ চন্দ্র সেন, ধর্ম সচিব ও ট্রাস্টি মো. নূরুল ইসলাম, ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, ট্রাস্টি বাসন্তী চাকমা এমপি, দয়াল কুমার বড়ুয়া, দীপক বিকাশ চাকমা, মং ক্য চিং চৌধুরী, থে মংলা রাখাইন, দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু ও ডালিম কুমার বড়ুয়া অংশ নেন।
এছাড়াও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ‘প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
এমআইএইচ/এএটি