পাবনা (ঈশ্বরদী): চটের থলিতে সোনার মহর ভরে বেচা-কেনা হতো। তাই স্টেশনের নামকরণ 'চাটমোহর'।
অচিরেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে বৃটিশ আমলে নির্মিত রেলওয়ে স্টেশনে। নির্মিত হবে নান্দনিক সব পরিপাটি স্থাপনা। চাটমোহর রেল স্টেশনটি আধুনিক হলে যাত্রীসেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুটের পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা। এসময় তিনি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জোনের প্রকৌশলী বিভাগের কর্মকর্তাদের স্টেশনটি আধুনিক স্টেশন করার জন্য নির্দেশ দেন।
রোববার সন্ধ্যায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মো. মাসউদূর রহমান, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহীদূল ইসলাম, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকতা, ফুয়াদ হোসেন আনন্দ প্রমুখ।
পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, অচিরেই টেন্ডারের মাধ্যমে বৃটিশ আমলে নির্মিত স্টেশন বিল্ডিং ভেঙে একটি আধুনিক মডেলের স্টেশন নির্মাণ করা হবে। চাটমোহর স্টেশনটি আধুনিক হলে ভ্রমণপ্রিয় ট্রেন যাত্রী ও ট্রেনে পণ্য পরিবহনে সুযোগ সুবিধা আরও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও স্টেশনের চারিদিকে মনোরম পরিবেশ থাকবে। যার সুবিধা ট্রেন যাত্রীরা উপভোগ করতে পারবে।
জানা যায়, প্রতিদিনই চাটমোহর স্টেশনের ওপর দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে যাওয়ার জন্য অন্ততপক্ষে ১৫টি আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে। ১৯১৬ সালে চাটমোহর রেল স্টেশনটি নির্মিত হওয়ার পর বৃটিশ আমল থেকেই রেল যোগাযোগ ভালো ছিল। রেলপথে লোকাল ও আন্তঃনগর ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, দিনাজপুর অভিমুখে চলাচল করা সহজ। উপজেলায় তিনটি রেলস্টেশন থাকলেও চাটমোহর স্টেশন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
আরএ