খুলনা: খুলনা মহানগরে চাঞ্চল্যকর গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬)।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে র্যাব-৬ এর (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মহানগরের লবণচরা থানার আশিবিঘা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
র্যাব-৬ এর সেকেন্ড ইন কমান্ড মেজর মো. আনিসুর রহমান এ তথ্য জানান।
আটকরা হলেন- লবণচরার দক্ষিণ মোল্লাপাড়ার বাঙ্গালী গলির বদি মোল্লার ছেলে বাপ্পী মোল্লা (২৩), মোল্লাপাড়া মসজিদ গলির আজারুল ইসলাম আজুর ছেলে তরিকুল ইসলাম তারেক (২২) ও খুলনা সদরের মহিষবাড়ী ছোট খালপাড় এলাকার আশিকুর রহমান নিরুর ছেলে নাইমুর রহমান আকাশ (১৯)।
আনিসুর রহমান জানান, বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স শফিকুল ইসলাম হত্যার পর থেকেই খুলনা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি দুলাল তালুকদারের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছেন। হত্যা মামলায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটকদের খুলনা মেট্রোপলিটন (কেএমপি) পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
গত ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে কেএমপি, খুলনার লবণচরা থানার বান্দাবাজার এলাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অপর তিনজন সোর্সসহ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি ইয়াবাব্যবসায়ী চক্রকে আটক করতে গেলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা ইয়াবাব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা অভিযান দলের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে গোয়েন্দা পুলিশের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)সহ অপর দু’জন সোর্স গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে কাছাকাছি থাকা গোয়েন্দা পুলিশের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত সদস্যদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সোর্স শফিকুল ইসলামকে (৩৫) মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে কেএমপির লবণচরা থানায় একটি হত্যা মামলাসহ দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
এমআরএম/আরবি