ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর খবর দক্ষিণখান মোল্লারটেক তাদের বাসায় পৌঁছানোর পর কান্নার রোল পড়ে যায় স্বজনদের মাঝে। আকাশ ও তার স্ত্রীর মিতুর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।
এই কথা জানতে চেয়ে সে তার আম্মুর সঙ্গে কথা বলতে চাইছে। সে বারবার বলছে, ‘আমার আম্মু অফিসে, আমি আম্মুর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলবো। ’
নিহত মিতুর চাচাতো ভাই নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।
নাজমুল হাসান জানান, বিমানবন্দর এলাকার সড়কে বাসের ধাক্কায় আকাশ ও মিতুর মৃত্যুর খবর দক্ষিণখানের বাসায় পৌঁছানোর পর স্বজনদের কান্না থামানো যাচ্ছে না। মিতুর মা ফিরোজা বেগম ও বাবা মানিক মিয়াসহ ভাই বোনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের কান্না দেখে আফরা বারবার জানতে চাইছে, তারা কান্না করছে কেন, বাসার সবার কান্নাকাটি দেখে সে বারবার তার মার সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইছে।
তিনি আরও জানান, মিতুরা ৩ বোন, এক ভাই। দক্ষিণখান মোল্লারটেক এলাকায় তাদের নিজের বাড়ি। ওই এলাকায় নিহত মিতু তার স্বামীকে নিয়ে একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। প্রতিদিনের মতো আজও মিতু অফিসে যাওয়ার আগে তার বাচ্চাকে মায়ের কাছে দিয়ে আসে। দুইদিন আগে আবদুল খালেক মডেল স্কুলে আফরাকে প্লে-তে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বাসা থেকে মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বাসের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন আকাশ ইকবাল (৩৩) ও তার স্ত্রী মায়া হাজারিকা মিতু (২৫)। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের পর দাফনের জন্য স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
এজেডএস/এইচএডি