ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিখোঁজ সাদমানকে নিয়ে তোলপাড়, প্রতারকরা সক্রিয় 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
নিখোঁজ সাদমানকে নিয়ে তোলপাড়, প্রতারকরা সক্রিয়  সাদমান সাকিব রাফি

ঢাকা: পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ভাটারা থানা এলাকার একটি বাসা থেকে ১৩ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে বের হয়ে যান সাদমান সাকিব রাফি (২৩)। ৭ দিনে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তাকে ফেনিতে পাওয়ার গুঞ্জন উঠলেও, এখনো পাওয়া যায়নি সাদমানের খোঁজ।

এ ঘটনায় বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে নিখোঁজ সাদমানের মা মনোয়ারা হোসেন ভাটারা থানায় একটি জিডি করেন।

ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ফেনী ডিআরপি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় বুধবার (২০ জানুয়ারি) ভোর বেলায় সাদমানকে পাওয়া গেছে এমনটা জানা গেলেও ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ভুয়া।  

ফেনী থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি প্রতারক চক্র সাদমানকে পাওয়ার কথা ছড়িয়েছে। ফেনী থানায় এই চক্রটির নামে একাধিক জিডি রয়েছে। চক্রটি হারানো বা নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এখনো সাদমানের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাদমানের ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সঙ্গে জঙ্গিবাদ ও অপহরণের সম্পৃক্ততার কোনো খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

ভাটারা থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুক্তার উজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ফেনী থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা জানতে পেরেছি সাদমানকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরা সম্ভবত পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন। এই বিজ্ঞপ্তি দেখে কেউ তাদের ফোন দিয়েছে। যারা ফোন দিয়েছে তারা প্রতারক চক্র কিনা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে। সাদমানকে খুঁজতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাদমানের মা মনোয়ারা হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সাদমানের কোনো ফ্রেন্ড সার্কেল নেই। আমার ছেলে কখনও আধ ঘণ্টার বেশি বাসার বাইরে থাকত না। বিদেশে বড় হওয়ার কারণে দেশের এলাকাগুলোও সে চেনে না। আল্লাহ আমার সন্তানকে যেন সুস্থ-সবলভাবে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন।

এর আগে পুলিশ জানায়, ভাটারা থানা এলাকার একটি বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সাদমান। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যান সাদমান সাকিব রাফি রাফি। সিসি ক্যামেরায় এমনটাই দেখা গেছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার হাতে একটি ব্যাগ ছিল।

বাবা-মার বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, সাদমান এর জন্ম ও বেড়ে ওঠা সৌদি আরবে। ভাই-বোনদের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি। সাদমান মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার জন্য আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) টাকা জমা দেওয়ার কথা বলেন বাসায়। ১৪ জানুয়ারি টাকা জমা দেওয়ার জন্য তার বাবা টাকা জোগাড়ও করেন। কিন্তু পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বুধবার বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
এমএমআই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।