ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভিকটিমের মুখ বন্ধ রাখতে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
ভিকটিমের মুখ বন্ধ রাখতে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন

ঢাকা: অপহরণকারী একটি চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয়ভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। তারা প্রথমে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করতেন।

পরে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পেলেই তারা ভিকটিমকে ছেড়ে দিতেন। তবে ভিকটিমকে ছাড়ার আগে চক্রটির নারী সদস্যদের সঙ্গে অশ্লীল ছবি তুলে রাখতেন। এর ফলে ভিকটিম সামাজিক লজ্জার ভয়ে আর পুলিশের কাছে আসতেন না।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের ছয়জন সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তরা বিভাগ।

আটকরা হলেন- মো. সাদেকুল ইসলাম, মো. ইফরান, মোহাম্মদ আলী রিফাত, মো. কুতুব উদ্দিন, মো. মাছুম রানা ও গোলাম রাব্বি।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা মাইক্রোবাসে করে একজনকে তুলে নিয়ে যান। পরে তারা ভিকটিমের স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে তিন লাখ ৩৪ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন।

মুক্তিপণ পাওয়ার পর চক্রটির সদস্যরা ভিকটিমকে উত্তরার ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে ফেলে যান। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি উত্তরা বিভাগের একটি দল এ চক্রের ছয় সদস্যকে সদস্যকে আটক করে।

চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে অপহরণ করে আসছিল জানিয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, তারা নানা কৌশলে অবলম্বন করায় ভিকটিমরা ভয়ে পুলিশের কাছে আসতেন না। চক্রটির নারী সদস্যদের দ্বারা অপহৃত ব্যক্তিদের এমন কিছু অশ্লীল ছবি তুলে রাখেন যার ফলে ভুক্তভোগীরা পরবর্তীতে সামাজিক লজ্জার ভয়ে আর পুলিশের কাছে আইনি সহায়তা নিতেন না।

ভুক্তভোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কেউ যদি এমন চক্রের মাধ্যমে অপহৃত হয়ে থাকেন তাহলে গোপনে আমাদের কাছে আসেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে আমরা যখন এ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার শুরু করি তখন ভিকটিমরা একের পর এক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এখন পর্যন্ত মোট চারজন ভিকটিম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

চক্রটির কার্যক্রমের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, উত্তরা ও ঢাকা দক্ষিণের কিছু এলাকায় তাদের কার্যক্রমের ছাপ আমরা পেয়েছি। এক্ষেত্রে তারা খুবই সাধারণ মানুষদের অপহরণ করতেন, যাতে কোনো আলোচনা নয়। প্রথমে তারা মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করলেও দুই থেকে তিন লাখ টাকা পেলে ভিকটিমদের ছেড়ে দিতেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ