ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
‘পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে’

ঢাকা: পরিকল্পনা মাফিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। একইসঙ্গে জুন ২০২১-এর মধ্যে চলমান প্রকল্পসমূহের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিসহ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে তদারকি কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ভার্চ্যুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  

চলমান প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত প্রকল্প এলাকা ও কার্যক্রম পরিদর্শন করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতির চেয়ে (জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতি ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ) বেশি। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য গঠিত সাতটি মনিটরিং টিম প্রতিমাসে নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শন করবে।

সভায় জানানো হয়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৭টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এরমধ্যে ৪৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, তিনটি কারিগরি সহায়তা ও একটি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৪০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে জিওবিখাতে এক হাজার ২৭৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে দুই হাজার ৯৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ৯২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, সারের সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য ১৩ বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এরইমধ্যে দু’টি বাফার গোডাউন হস্তান্তর করা হয়েছে এবং গাইবান্ধা, শেরপুর ও যশোরের বাফার গোডাউন নির্মাণের কাজ এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে। এ সময় লোকবল বাড়িয়ে জুনের মধ্যে নির্মাণাধীন অবশিষ্ট বাফার গোডাউনসমূহের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, কেউ কৃত্রিমভাবে সারের সংকট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের কোথাও অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করতে পারে সে বিষয়ে বিসিআইসিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় তিনি নির্মাণাধীন ১৩টি বাফার গোডাউনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে চিনিকল স্থাপনে আগ্রহী বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাবসমূহ দ্রুত এগিয়ে নেবার নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের মান ও আর্থিক বিষয়ে কোনো প্রকার অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করে কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, নতুন নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করে বিএসটিআইয়ের কার্যক্রমকে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এসব যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের পরামর্শ দেন তিনি।

শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ