ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিম নামে ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরী পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় থাকতো। তার বাবা ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী।
নিহত কিশোরীর মা জানান, গত শুক্রবার রাতে মিম ও তার ছোট বোন বাসার ময়লা ডাস্টবিনে ফেলতে যায়। ময়লা ফেলতে গিয়ে দুই বোন আর বাসায় ফেরেনি। রাতে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে থানায় গিয়ে জানায় পরিবার। পর দিন শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারা বাসায় ফেরে। বাসায় গিয়ে কিশোরী মিম তার মাকে জানায়, ৫ জন তাদের ধরে নিয়ে যায়। এরপর জুরাইন ভাঙ্গাবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি বাবা-মাকে বলার পরেও তারা চক্ষুলজ্জায় কাউকে কিছু জানাননি। শনিবার সারাদিন মিম সুস্থ থাকলেও রোববার সন্ধ্যার দিকে সে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কিশোরীর মা আরও জানান, রোববার দুপুরে মিম একই এলাকায় রকি নামে এক কিশোরের সঙ্গে দেখা করতে যায়। রকির সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মিম রকিকে ধর্ষণের কথা খুলে বলেছে। ঘটনা শুনে রকি তাকে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেছে। এরপর বাসায় চলে আসে মিম। সন্ধ্যায় সে দুটি চিঠি লিখে ছোট বোনকে বলেছে, একটি চিঠি বাবাকে ও আরেকটি চিঠি রকিকে দিতে। এর কিছুক্ষণ পরই অচেতন হয়ে পড়ে মিম। চিঠিতে কী লিখেছে তা জানাতে পারেননি তার মা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে ঘটনাটি কদমতলী থানা এলাকায় ঘটেছে।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, এক কিশোরী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। বিস্তারিত জানার জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, শুনেছি কিশোরীটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ঘটনাটি আসলে কী তা তদন্তের পরই জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এজেডএস/এমজেএফ