নীলফামারী: উদ্দেশ্য,সমাজে পাঠাগার আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া। কিশোর থেকে তরুণ,সবাই প্রবেশ করুক বইয়ের ভুবনে।
সরেজমিন দেখা যায়, সৈয়দপুর শহরের ক্যান্টনমেন্ট সিএসডি মোড় এলাকা। এর দু’পাশে শহীদ ক্যাপ্টেন মৃধা শামসুল হুদা সড়ক ও শহীদ আয়েজ উদ্দিন সড়ক। দুই সড়কের সংযোগস্থলের গোলচত্বরে বেশ কিছু তরুণের জটলা লক্ষ্য করা গেল। কাছে গিয়ে দেখা যায়,বই ভর্তি একটি সেলফকে ঘিরে তাদের ভিড়।
বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, আদালতের রোজনামচা, হুমায়ুন আহমেদের আজ চিত্রার বিয়ে, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিষের বাঁশি, অগ্নিবীণা, সমরেশ মজুমদারের আয় সুখ যায় সুখ,কবি হেলাল হাফিজের যে জলে আগুন জ্বলে, আনিসুল হকের মাসহ অনেক বই ওই সেলফে শোভা পাচ্ছে।
পথের পাশে পাঠাগার। বিনে পয়সায় বই পড়ার সুযোগ। সেলফের বই নাড়াচাড়া করছিলেন, বাংলাদেশ আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউস্ট) ছাত্র আসাদুল ইসলাম।
তিনি বললেন, বই পড়ার এত সহজ উপায় হাতের কাছে মিলবে, তা ভাবতে অবাক লাগছে। এখন থেকে আমি নিয়মিতভাবে পথ পাঠাগারের বই পড়বো। এমন একটি পাঠাগার গড়ে তোলায় উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।
পাঠাগারের অন্যতম উদ্যোক্তা মাসুদ রানা জানান, এখনকার তরুণ সমাজের বড় একটি অংশ অস্থির চিত্তের। ভার্চ্যুয়াল জগত তাদের অনেকটা গিলে ফেলেছে। ইলেকট্রোনিক ডিভাইসে ডুবে থাকছেন তারা। এতে ভালো-মন্দ দু’দিকই আছে। আমরা এর বিরোধী নই। তবে চাই, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠুক। একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই এর মাধ্যমে।
মননশীলতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। এ কথা বললেন পথ পাঠশালার আরও এক উদ্যোক্তা সুতপা রায়। তিনি বলেন, সমাজ ভালো মানুষকে ভালোবাসে। বই হলো আলোকিত ভালো মানুষ গড়ার প্রধানতম মাধ্যম। তাই বই পড়তে আহ্বান জানাচ্ছি পাঠকদের।
সৈয়দপুরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা পাঠাগার আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। এমন একটি ভালো কাজকে উৎসাহিত করেছেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন। তিনি বলেন,চলুক এ আন্দোলন। এ আন্দোলনে আমাদেরও পাশে পাবেন তারা।
উদ্যোক্তারা বললেন, পথ পাঠাগারে প্রতিদিন বই পড়ার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থী, তরুণ সমাজসহ সব স্তরের মানুষ। সপ্তাহের সাতদিন সৈয়দপুরের সিএসডি মোড়ে উন্মুক্ত থাকবে ওই পাঠাগার। পরের সাতদিন সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে বসবে বই পড়ার আসর। এভাবে ক্রমানুসারে চলবে পাঠাগার আন্দোলন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১
এসআই