কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে মাঘ মাসের তীব্র শৈত্য প্রবাহ ও উত্তরীয় হিমশীতল বাতাস বিরাজ করায় কোনোভাবেই কমছে না হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা।
সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুড়িগ্রাম অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজারহাট আবহওয়া ও কৃষি গবেষণাগারে।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। জেলা প্রশাসন ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তীব্র শীতের কবল থেকে রেহাই পেতে মানুষ খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। দুপুরে ২-৩ ঘণ্টার জন্য সূর্য উঁকি দিলেও তাতে উত্তাপ থাকছেনা। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে যারা কাজে বের হচ্ছে তাদের অবস্থা জুবুথুবু। প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি বের হচ্ছে না মানুষ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করেই কুড়িগ্রামে শুরু হওয়া তীব্র শৈত্য প্রবাহ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বাংলানিউজকে জানান, সরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য ৫৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারিভাবে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আগাম স্প্রের কারণে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে গেছে। এছাড়াও শীতের কারণে সাময়িকভাবে বীজধান রোপনে কিছুটা বিলম্ব হলেও তাতে কোনো সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
এফইএস/এনটি