ঢাকা: অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে শুধু ব্যক্তি হিসেবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, জাতি হিসেবেও আমাদের উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। এই ধারা চলতে থাকলে আগামীতে জাতি হিসেবে আমরা মারাত্মক সমস্যায় পতিত হবো।
সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১ উপলক্ষে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিরাপদ খাদ্য ভোক্তার অধিকার বলে গণ্য হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরাপদ খাদ্যকে ভোক্তার অধিকার হিসেবে নেয় এবং এর ব্যতয় হলে সেসব দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হয়। বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রথমদিকে খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়গুলো রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন বলতে যা বোঝায় সেখানে নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা দরকার। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করা যাবে না।
বক্তারা আরও বলেন, শাকসবজিতে বিকেল বেলায় কীটনাশক দিয়ে সকালে তা বিক্রি করছেন কৃষকরা। কেউ এটা না জেনে করছেন আবার কেউ খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন। সে কারণেই এসব খাদ্য খুবই অনিরাপদ। যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তারা শুধু সাধারণ মানুষকেই ভেজাল খাওয়াচ্ছে না। একই সঙ্গে তারা নিজেদের পরিবার, সন্তানকেও ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্য খাওয়াচ্ছেন।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ জসিম, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ নোমান মোশারফ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
এমএমআই/এমআরএ