ঢাকা: মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হাতে আটকদের মুক্তি চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান সেখানকার গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিকে আটকের খবরে আশঙ্কা প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভ্যান।
আমরা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখবো। আমাদের আঞ্চলিক সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও অন্যান্য সবপক্ষকে গণতান্ত্রিক রীতি ও আইনের শাসন মেনে আটকদের মুক্তি দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানো বা গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাধা দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করবে। এসব পদক্ষেপ প্রত্যাহার করা না হলে দায়বদ্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং দেশটির জনগণের সঙ্গে আছি।
সোমবার ভোরে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। এসময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি-সহ শাসকদলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
টিআর/ওএইচ/