মেহেরপুর: সকাল থেকেই ছদ্মবেশে দুদকের একটি দল মেহেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অবস্থান নেন। সারাদিন পর্যবেক্ষেণ শেষে ঘুষের বিষয় নিশ্চিত হয়েই বিকেলে শুরু করেন অভিযান।
তার কাছে এত টাকা কেন জানতে চাইলে রেজাউল হক দুদককে জানান, সাব-রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলামের নির্দেশে রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরারদের কাছ থেকে এ টাকা নেওয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় সাব-রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলামের টেবিলের ড্রয়ারে পাওয়া গেছে আরও ৭৬ হাজার টাকা। তবে এই ৭৬ হাজার টাকা সরকারি বলে দাবি করেছেন সাব-রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়া জেলার সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে মেহেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এ অভিযান চালানো হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়া জেলার সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, সকাল থেকেই দুদকের সদস্যরা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শুরু করে। এক প্রকার নিশ্চিত হয়েই বিকেলের দিকে তারা অভিযানে নামে। এসময় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ঝড়ুদারের পকেট থেকে ৭৪ হাজার ৬শ ১৪ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মেহেরপুর জেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক এ অভিযান পরিচালনা করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
এইচএডি/