নবাবগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইছামতি নদীতে জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে পাঁচ গ্রামবাসীর। দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা হাসনাবাদ ও নয়ানগর গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির কিছু অংশে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশটুকু নৌকায় পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। এ জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত শতশত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। যেকোনো সময় যে কেউ পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসী জানায়, নদীর পশ্চিম পাড়ে নয়ানগর, ইমামনগরসহ আশপাশের পাঁচটি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের বসবাস। নদীর ওপারে এলাকার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র পুরাতন বান্দুরা বাজার, স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট ইউফ্রেজিস গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বান্দুরা হলিক্রশ স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্যাংক, হাসপাতাল, হাসনাবাদ গীর্জা। তাই এলাকাবাসীর ইছামতি নদী পার হয়ে যেতে হয়। বিকল্প রাস্তা হিসেবে দুই কিলোমিটার ঘুরে নতুন বান্দুরা ঘুরে ব্রিজ পার হয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় করতে হয় তাদের। ওপাশের যাতায়াত অবস্থা ভালো নয়। এতে প্রভাব পড়েছে নয়ানগর গ্রামে। নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে এলাকাটি। রাস্তাঘাটের এতোই বেহাল দশা গাড়ি চলাচলেরও অনুপযোগী। জরুরি কোনো মুমূর্ষ রোগী হাসপাতালে নিতে হলে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নদীর ওপর সরকার একটি সেতু নির্মাণ করে দিলে তাদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। অনায়াসে যাতায়াতের করতে পারবে তারা।
নয়ানগর গ্রামের জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে খুব ভয় লাগে। কখন যে সাঁকো ভেঙে নদীতে পড়ে যাই। আমাদের জন্য এখানে একটি ব্রিজ হওয়া দরকার।
নয়ানগরের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি পুরাতন বান্দুরা বাজারে ব্যবসা করি। প্রতিদিনই এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় হাসনাবাদ নয়ানগরে একটি সেতু করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে যত দ্রুত সম্ভব এখানে একটি ব্রিজ দরকার।
আবুল হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের একটি স্বপ্ন ছিল নয়ানগর ইছামতি নদীতে একটি সেতু হবে। নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা শত আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর তা কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আমাদের স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থাকে। বাস্তবায়ন আর হয় না। আর কবে হবে সেতু?
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য বলেন, সাঁকোটির ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছি। সেখানে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
এনটি