ঢাকা: দেশে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশ আবাসিক খাতে ব্যবহার হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানীনি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বিদ্যুৎ খরচের হিসাব অনুযায়ী তিনি এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। মঙ্গলবারের প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশ আবাসিক খাতে, ১০ শতাংশ বাণিজ্যিক খাতে এবং ২৮ শতাংশ শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়েছে। গত ১০ বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ছয় হাজার ৭২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক মহামারির কারণে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম। ফলে মেরিট অর্ডার ডেসপাচ অনুযায়ী কিছু কিছু তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গ্যাসের স্বল্পতার কারণে কিছু কিছু গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আংশিক ক্ষমতায় চালু রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি থেকে বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে বিদ্যুতের চাহিদা এবং উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।
আওয়ামী লীগের সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের উত্তরে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবাসিকখাতে গ্যাসের অপচয় রোধ ও জ্বালানির দক্ষ ব্যবহারে ইতোমধ্যে দুই লাখ ৭৩ হাজার ১০০টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। অন্য আবাসিক গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে প্রি-পেইড মিটারের প্রাপ্যতা সহজতর করতে বেসরকারি পর্যায়েও প্রি-পেইড মিটার সরবরাহেরর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, আইন অনুযায়ী এলপিজি গ্যাসের পাইকারি ও খুচরামূল্য নির্ধারণের কর্তৃত্ব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের। কমিশন পর্যায়ে মূল্য পুনঃনির্ধারণের কার্যক্রম বর্তমানে চলমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
এসকে/এএ