গাজীপুর: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা উদ্যোক্তা হবেন, শুধু চাকুরি খুজবে না। আমরা তাদের নানা ধরণের প্রশিক্ষণ দিবো তাদের উদ্যোক্তা হতে শেখাবো।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খণ্ড এলাকায় দেলোয়ার হোসেন দম্পত্তির মৌমিতা ফ্লাওয়ার্স ফুল সবজির বাগান পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেলেয়ার দম্পতি বাগানে আধুনিক পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও সবজির চাষ করছেন। তাদের উৎপাদিত ফসলগুলোতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে ফুল ও সবজি চাষে ৩০০জন উদ্যোক্তা তৈরি করে দিয়েছেন। অনেককে প্রশিক্ষণও দিয়েছেন। আমাদের দেশে এমনিতেই মাটি এত উর্বর যে তাতে ফুল চাষ করে বাজারজাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ ফুল বিদেশে রপ্তানি করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দম্পতি যেভাবে উদ্যোক্তা তৈরি করে দিচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি যে, সরকারি আরও সহযোগিতা পেলে নিশ্চয়ই ওনারা এটাকে বিশাল আকারে নিয়ে যেতে পারবেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার সরকার সব সময়ই উদ্যোক্তাদের পাশে আছে। কেউ নতুন কিছু করতে চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের সহায়তা দেন, উৎসাহ দেন। দেশে এভাবে ফুল চাষ হলে আমরা সবজির পাশাপাশি ফুলও রপ্তানি করতে পারবো।
এসময় শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা মোস্তারী, শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির হিমু, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় দেলোয়ার দম্পতির টিউলিপ, বিদেশি গোলাপ ফুল, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি বাগানসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
প্রায় সাত একর জমিতে কালার ক্যাপসিকাম, গ্রীণ ক্যাপসিকাম, টিউলিপ ফুল, ওরিয়েন্টাল লিলি, ডাচ গোলাপ, দেশি গোলাপ, স্ট্রবেরি, জি-৯ কলাসহ বিভিন্ন ফুল ফলের চাষ ও চারা তৈরি করেন দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, ২০০২ সাল থেকে নিজের কিছু জমিতে এসব চাষাবাদ শুরু করেন। পরে তা নিজের পাঁচ বিঘা ও লিজে নেওয়া ১৫বিঘা জমিতে তা সম্প্রসারণ করেন। সারাদেশে তিনি এসব চাষে তিনশত জন উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন। এসব চাষাবাদে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ প্রকল্পে ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত ব্যাংক লোন দেয় না। যে লোন পাওয়া যায় তাও চড়া সুদে। সরকার সহযোগিতা করলে ফুল সবজি চাষ করে ভারত ও চীনের মতো হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
আরএস/কেএআর