সিলেট: স্ত্রীর মামলায় পলাতক থাকতে সিলেট নগরে এসেছিলেন পল্লি চিকিৎসক রেজাউল করিম হায়াত (৫০)। কিন্তু পলাতক থেকেও রক্ষা হলো না তার।
নিহত চিকিৎসক হায়াত সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাছাদেক উত্তর রাজনগর গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাতে নিহতের বোন মিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এসএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হত্যার রহস্য উন্মোচনে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। ওইরাতে (২৯ জানুয়ারি) নগরের লালবাজার হোটেল এমদাদিয়ায় এসে ১১টা ৫৯ মিনিটে দোতলার ২০২ নম্বর কক্ষ ভাড়া করেন। পরদিন ৩০ জানুয়ারি সকাল সন্ধ্যা বিদ্যুৎ ছিল না। যে কারণে ভিডিও ফুটেজও তথ্য মিলছে না। কিন্তু হত্যার পর মরদেহ ফেলা হয় পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদিয়া হোটেলের পেছনে। ফলে ঘটনার পর আটক মোহাম্মদিয়া হোটেলের ম্যানেজার আবদুর রউফ চৌধুরী, সহকারী ম্যানেজার শামীম এবং হোটেল কর্মচারী দেলোয়ার ও ফরিদকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়াতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিতেও পারে। স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ থেকে মামলার বিষয়টিও সামনে রেখে তদন্ত চলছে। যেহেতু চিকিৎসক রেজাউল করিম হায়াত একাধিক বিয়ে করেছিলেন।
বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। তবে আর কোনো মামলা ছিল কিনা, খতিয়ে দেখতে হবে। সোমবার দুপুরে নগরের লালাবাজার হোটেল মোহাম্মদিয়োর পেছনে থেকে ছুরিকাঘাতে নিহত রেজাউল করিম হায়াতের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় মরদেহের পরিচয় মিলেনি। পরে বিকেলের দিকে পরিচয় নিশ্চিত হতে পেরেছিল পুলিশ।
নিহত রেজাউল করিমের বাম কানের নিচে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পিবিআই বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
এনইউ/এএটি