সিরাজগঞ্জ: দিনভর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পালন করা হচ্ছে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের চতুর্থ বার্ষিকী।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শাহজাদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় আব্দুল হাকিম শিমুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও নিহত সাংবাদিক শিমুলের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শাহজাদপুর প্রেসক্লাব থেকে শাহজাদপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা, সংস্কৃতিকর্মী এবং নিহত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের স্বজনদের নিয়ে একটি শোক র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুণ্ডর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংবাদিক আতাউর রহমান পিন্টু, ওমর ফারুক, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক আল আমিন হোসেন ও সাংবাদিক হাসানুজ্জামান তুহিন প্রমুখ।
৪ বছরেও শিমুল হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, নানা ষড়যন্ত্রের জালে আটকে আছে শিমুল হত্যার বিচার। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু না হওয়ায় সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে শিমুল হত্যার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানান বক্তারা।
দিনভর কর্মসূচিতে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের স্ত্রী নুরুন নাহার, ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক, মেয়ে তামান্না-ই-ফাতেমা, মামা আব্দুল মজিদ মন্ডল, ভাই আবুল কালাম আজাদ ছাড়া আরও উপস্থিত সাংবাদিক মুমীদুজ্জামান জাহান, শফিউল হাসান চৌধুরী লাইফ, কোরবান আলী লাভলু, এমএ জাফর লিটন, শামসুর রহমান শিশির, জহুরুল ইসলাম, জাকারিয়া মাহমুদ, আবুল হাসনাত টিটোসহ শাহজাদপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য শিমুলকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে নিহত শিমুলের স্ত্রী নুরুন নাহার বাদী হয়ে সাবেক মেয়র হালিমুল হক মিরুকে প্রধান আসামি করে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মিরুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে সব আসামি জামিনে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
এনটি