নাটোর: নাটোরের লালপুরে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সুমাইয়া (০৬) ও রিতু (০৬) নামে দুই শিশুকে ধর্ষণের দায়ে ইয়াকুব আলী (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মোহাম্মদ ইমদাদুল হক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রায় ঘোষণা শেষে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াকুব আলী পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার মাঝদীয়া মাদরাসাপাড়া এলাকার এসকেন আলীর ছেলে।
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সকালে লালপুর উপজেলার শ্রীরামগাড়ী এলাকায় শিশু সুমাইয়া ও তার চাচাতো বোন রিতু বাড়ির বাহিরে খেলা করছিল। এসময় ইয়াকুব আলী তাদের চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে বাড়ির পিছনে বাঁশ বাগানে ডেকে নিয়ে যান।
সেখানে তাদের দু’বোনকে ধর্ষণ করেন ইয়াকুব আলী। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশু দুটি তাদের অভিভাবককে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। স্বজনরা বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানায়। কিন্তু বিচার না পাওয়ায় একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর লালপুর থানায় সুমাইয়ার মা বাদি হয়ে ইয়াকুবকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ ইয়াকুবকে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে গ্রেফতার করেন। পরে মামলা তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল আসামি ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। এই মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক মোহাম্মাদ ইমদাদুল হক আসামী ইয়াকুব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করার আদশে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
এনটি