ঢাকা: জনবলের দক্ষতা, কারিগরি জ্ঞান, ট্রেনিং ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হলে সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মাথাপিছু অন্য অনেক দেশের চেয়ে কম এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব পৃথিবীর সর্বোচ্চ। এ সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ ব্যক্ত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখার মতো। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
চুক্তির মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে তা হলো, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন প্রকার নীতি প্রণয়ন, মানসম্মত কার্যপদ্ধতি প্রণয়ন, যুগোপযোগী গাইডলাইন নির্মাণ, কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২১-২০২৬ প্রণয়ন, বিভিন্ন প্রকার রেফারেন্স ল্যাব স্থাপন, বিশেষজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগ ইত্যাদি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে নজর অ্যাপসের মাধ্যমে রাজধানীর নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁর দুটি আউটলেট ও ফার্স রেস্তোরাঁয় মনিটরিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার এবং জাইকার পক্ষে জাইকার প্রতিনিধি ইয়োহু হাইয়াকাওয়া রেকর্ড অব ডিসকাশনে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ