ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১ মাসে ৫৭ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১
১ মাসে ৫৭ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: তাপস ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা: ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর গত এক মাসে তিনটি খাল ও দু’টি বক্স কালভার্ট থেকে ৫৭ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নিয়েছি ৩০ দিনের মতো হলো। এরই মধ্যে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য আমরা অপসারণ করেছি। আমার ধারণা, যে অবস্থা আগামী দু’মাসে বর্জ্য অপসারণের পরিমাণ দুই লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু তারপরও আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী, একটি সুষ্ঠু পরিবেশ আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো, যদিও একাজ এখন পর্যন্ত অত্যন্ত দুরূহ বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘২ জানুয়ারি থেকে আমরা ব্যাপক কর্মযজ্ঞ আরম্ভ করেছি। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই যেন সব খাল পরিষ্কার, পানি নিষ্কাশন ও পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করতে পারি। পরবর্তীকালে আমরা দীর্ঘ মেয়াদী যে পরিকল্পনা নিয়েছি, খালের পাশের যে জমি দখল হয়েছে, সেগুলো মুক্ত করে সেখানে যাতায়াত, হাঁটাচলা, সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা করা, যেন মানুষজন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে এবং সেখানে যতটা সম্ভব নান্দনিক পরিবেশ গড়ে তুলবো। ’

খালের দু’পাশ দখলে রাজনৈতিক মদদ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা জোরালোভাবে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে মাণ্ডা খালের পাশে থাকা জায়গা দখলমুক্ত করেছি। খালের প্রশস্ততার জন্য সিএস জরিপে যা আছে, মানচিত্রে যা আছে, আমরা সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ জমি দখলমুক্ত করব। ’

শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কয়েকটি কমিটি কাজ করছে। এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আমরা বলেছি, যাতে আইনগুলো আরও কঠোরভাবে পরিপালন করা হয়। আশা করছি, পরিবেশ অধিদপ্তরও তাদের দায়িত্বগুলো সুচারুরূপে পালন করবে। ’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
আরকেআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।