ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারত থেকে এলো এক লাখ ১১ হাজার মে. টন চাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১
ভারত থেকে এলো এক লাখ ১১ হাজার মে. টন চাল

ঢাকা: দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানিকৃত চালের মধ্যে এক লাখ ১১ হাজার ৫২০ মেট্রিকটন চাল দেশে পৌঁছেছে।

বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশে আসতে শুরু করেছে আমদানিকৃত চাল। গত ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোমরা, দর্শনা, বেনাপোল, সোনা মসজিদ, হিলি, বুড়িমারি, বাংলাবান্দা, শেওলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে বেসরকারিভাবে মোট ৫৬ হাজার ৩ ৯১ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে। এছাড়া সরকারিভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় ৫৫ হাজার ১২৯ মেট্রিকটন টন চাল দেশে পৌঁছেছে। সর্বমোট ১ লাখ ১১ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাতদিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিক ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টন পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছে, তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না বলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এলসি খোলার সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এরপর ৩১ জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক অফিস আদেশে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এলসি খোলার সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নির্দেশনা জারি করা হয়।

এর মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য গত ৩ জানুয়ারি ১০ জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন, ৪ জানুয়ারি ১২ জন ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৫ জানুয়ারি ৭ জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, ৬ জানুয়ারি ৪৯ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, ১০ জানুয়ারি ৬৪ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আরো ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

গত ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৭২ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আরও ১ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ১৩ জানুয়ারি ৪৩ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল এবং ১৭ জানুয়ারি ৬৩ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়ে আমদানির অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানি জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।