ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারী অধিকার ও শিশু সুরক্ষায় সহযোগিতা দেবে অস্ট্রেলিয়া

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১
নারী অধিকার ও শিশু সুরক্ষায় সহযোগিতা দেবে অস্ট্রেলিয়া নারী অধিকার ও শিশু সুরক্ষায় সহযোগিতা দেবে অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা: বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের উখিয়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্যা ব্র্যাক পরিচালিত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি পরিদর্শন করেছেন।

সফরকালে তারা বাংলাদেশকে নারী অধিকার ও শিশু সুরক্ষায় অর্থায়ন বাড়ানোসহ আনুষঙ্গিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ব্র্যাক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের হিউম্যানিট্যারিয়ান অ্যাডভাইজার অ্যামি শ্যারিডান,  হিউম্যানিট্যারিয়ান অফিসার অ্যানা ল্যামিং। এ সময় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির  হিউম্যানিট্যারিয়ান প্রোগ্রামের পরিচালক সাজেদুল হাসান, হিউম্যানিট্যারিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক, এইচসিএমপির হোস্ট কমিউনিটির প্রধান মতিন সর্দার, একই কর্মসূচির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এস এম আবু কায়সারসহ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা।  তারা কক্সবাজার জেলার উখিয়ার কুতুপালং ইউনিয়নের গয়লামারা অবস্থিত নারীবান্ধব কেন্দ্র এবং একই ইউনিয়নের হাজিম্মাপারা গ্রামে স্ট্রেলিয়ান সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হাজিম্মাপাড়ায় ব্র্যাক প্রাইমারি স্কুল পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনের সময় প্রতিনিধিরা নারীবান্ধব কেন্দ্রে কিছু সময় অবস্থান ও ব্র্যাকের প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তারা সেখানকার নারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বাল্যবিয়ে নিরোধ, তাদের সামাজিক সমস্যায় আইনি সহায়তা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ কাউন্সেলিং, নারীদের হস্তশিল্পে কর্মদক্ষতাসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ব্র্যাকের নেওয়া কর্মসূচির প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তারা এ ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এরপর তারা জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাসিয়া গ্রামে প্রতিবন্ধী লিডারশিপ লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং সেখাননে কর্মরত কর্মীদের কাছ থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চান।

মতবিনিময়কালে অ্যামি শ্যারিডান স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাল্যবিয়ে নিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে সমস্যার আলোকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ ও কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে বিশেষ ওরিয়েন্টশন সভার জন্য আলোচনা করেন। এছাড়া, স্কুলগুলোতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদের হোম স্কুল পরিচালনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, স্ট্রেলিয়ান সরকার অনেক আগে থেকে এ অঞ্চলের স্থানীয় দরিদ্র নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাল্যবিয়ে নিরোধ এবং শিশু সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে আগামী দিনে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।

সাজেদুল হাসান বলেন, বাল্যবিয়ে নিরোধ ও দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা বিস্তারে ব্র্যাক ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সংস্থাটি এখন কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে। এর পাশাপাশি ব্র্যাক এক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে তা আগামী দিনে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করবে।

এ সম্পর্কে ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ব্র্যাক প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সহযোগিতায় সম্প্রতি এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য হাতেনাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদার নিরিখে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে অষ্ট্রেলিয়ান সরকারের কাছ থেকে অর্থায়নসহ এক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য, স্ট্রেলিয়ান সরকারের সহায়তায় ‘সাপোর্ট টু দ্য রোহিঙ্গা হিউম্যানিট্যারিয়ান রেসপন্স ইন কক্সবাজার’ নামে এ প্রকল্পটি ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছে। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
টিআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।