ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাট পরিদর্শনে বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাট পরিদর্শনে বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান কাজীরহাট ফেরিঘাট পরিদর্শনে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান  গোলাম সাদেক। ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা: বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর থেকে চাপ ও ঝুঁকি কমাতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বর্তমান সরকারের ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ বৃদ্ধি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাট পরিদর্শন করেছেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান  গোলাম সাদেক।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন।

 

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) আরিচা ফেরিঘাট থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ফেরিটি কাজীরঘাট ফেরিঘাটে এসে নোঙর করেছে।

বুধবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ফেরির পরীক্ষামূলক যাত্রার মাধ্যমে কাজীরহাট ফেরিঘাটে এসে পৌঁছান। কাজীরহাট ফেরিঘাটে নামার পর তিনি ঘাট এলাকার আশপাশ পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

এ সময় তিনি বলেন, কাজীরহাট ও আরিচা ফেরিঘাট এর দুপাশের অবস্থানসহ নদীর নাব্যতা অনুযায়ী ফেরি চলাচলের উপযোগী রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল কার্যক্রম শুরু হবে।  

পরিদর্শন শেষে টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই) প্রশিক্ষণ জাহাজের পরীক্ষামূলক যাত্রার মাধ্যমে আরিচা ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন।  

এ সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ দপ্তরের (বিআইডব্লিউটিসি) প্রধান প্রকৌশলী (পুর), পরিচালক (নৌসওপ), অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং), অধ্যক্ষ এসপিটিআই মাদারীপুরসহ প্রটোকল কর্মকর্তা তার সফরসঙ্গী ছিলেন।  

এছাড়াও দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বেড়া উপজেলার রূপপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জ্বল, মাসুমদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

বিআইডব্লিউটিসির ক্যাপ্টেন আলী রেজা বলেন, কাজীরহাট-আরিচাঘাট ফেরি চলাচল শুরু হলেই প্রথম অবস্থায় ৪টি ফেরি চলাচল করবে। যানবাহন পারাপারের উপর ভিত্তি করে পরে আরো ফেরি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এসময় পাবনা বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার মানুনদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন ও রুপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম উজ্জ্বল বলেন, পাবনাবাসী তথা এ অঞ্চলের মানুষের দাবি ছিলো এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু করার। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে খুব সহজে সল্প সময়ের মধ্যে যাতায়াত করা সম্ভব হবে এই নৌপথের মাধ্যমে। আমরা প্রধানমন্ত্রীসহ নৌ পরিবহন মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রেলপথের পাশাপাশি নৌপথ চালু হওয়াতে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছি আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।