ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খেলার মাঠে আর পশুর হাট নয়: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
খেলার মাঠে আর পশুর হাট নয়: তাপস আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিএসসিসি মেয়র তাপস, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: খেলার মাঠে আর কোনো পশুর হাট বসানো হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রথমবারের মতো ডিএসসিসি ৭৫টি ওয়ার্ডের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এ প্রতিযোগিতায় ৬৩টি ক্রিকেট এবং ৬৪টি ফুটবল দল অংশ নেবে।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকার খেলার মাঠগুলোতে এখন থেকে আর কোনো পশুর হাট কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠান হবে না। খেলার মাঠ শুধু খেলাধুলার জন্য এবং মানুষের হাঁটা-চলার জন্য ব্যবহৃত হবে। সারা দিনরাত খেলার মাঠ শুধু খেলাধুলার জন্যই উন্মুক্ত থাকবে।  

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের জাতির পিতা তার শৈশব, কৈশোরে এবং ছাত্রজীবনে একজন খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি যেমন স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য লড়েছেন, তেমনি খেলাধুলার মাঠেও বীরদর্পে তার পদচারণা ছিল। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন ক্রীড়ামোদি। জাতির পিতার জন্মদিনের আগেই আমাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান করবো। প্রায় মাসব্যাপী এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটা ওয়ার্ড থেকে ওয়ার্ড ভিত্তিক ছেলেমেয়েরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। সুতরাং প্রতিটা ওয়ার্ড থেকে খেলোয়াড় সৃষ্টির নব সূচনা আমরা সৃষ্টি করলাম।  

করোনাকালে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা থেকে দূরে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার দুয়ার আবার উন্মোচিত করলাম। এখন থেকে প্রতি বছর এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। প্রথম বছরে আমরা ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলার আয়োজন করতে পেরেছি। পরে ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন এবং আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডির আয়োজন করা হবে। খেলোয়াড় সৃষ্টির একটি বড় প্রক্রিয়া হয়ে উঠবে সিটি করপোরেশনের এ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ঢাকার ছেলেমেয়েরা এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে খেলার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ঢাকার ১৩টি মাঠে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ১৫ মার্চ সমাপনী অনুষ্ঠান হবে।  

ক্রিকেট এবং ফুটবল উভয় ক্ষেত্রেই চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য পাঁচ লাখ টাকা এবং রানার আপ দলের জন্য তিন লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ফুটবলের ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট এবং ক্রিকেটের ম্যান অব দ্যা সিরিজ হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজি সালাউদ্দিন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিউল আজম ও ওরিয়ন গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইরফানুল আজিম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
আরকেআর/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।