মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এক রাতে তিনটি বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা বাসার লোকজনকে অচেতন করে জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ পাঁচ লাখ টাকাসহ প্রায় নয় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এ ঘটনায় তিন পরিবারের ১৬ জনকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ফেসবুকের স্ট্যাটাস ও ৯৯৯ এ সংবাদ পেয়ে ভোরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অচেতন অবস্থায় ওই ১৬ জনকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী খালেদ মিয়ার ভগ্নিপতি বাকের মিয়া বাংলানিউজকে জানান, রাত ১২টার দিকে পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে ভোর চারটার দিকে খালেদ কিছুটা সুস্থ অবস্থায় জেগে উঠেন। এরপর পরিস্থিতি বুঝে তার ফেসবুকে বিষয়টি জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস ও একই সঙ্গে ৯৯৯ ফোন দেন।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ এসে খালেদ ও তার পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
বাকের জানান, রান্না ঘরের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ডাকাতরা ভেতরে প্রবেশ করে আলমারি ভেঙ্গে ব্যবসার নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও প্রায় পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। পুলিশের উদ্ধার কাজের সময় পাশের ও উপরের ফ্লাটের বাসিন্দারা জেগে চিৎকার করলে পরিবার দুটির আরও ১১ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পুলিশ। এর মধ্যে আব্দুল লতিফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমএ কাইয়ূম নামে স্থানীয় এক প্রতিবেশী জানান খালেদ মিয়ার বাসা ছাড়া অপর দুই বাসার কোন কিছু খোয়া যায়নি।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বাংলানিউজ বলেন, সন্ধ্যার কোন এক সময় ডাকাতরা রান্নাঘরের জানালা দিয়ে খাবারে চেতনানাশক স্প্রে করে থাকতে পারে। রাতে এ খাবার খেয়ে এই তিনটি পরিবারের সদস্যা অচেতন হয়ে পড়ার সুযোগে জানালার গ্রিল ভেঙ্গে খালেদের বাসার আলমারি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অপরাধীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
বিবিবি/কেএআর