ঢাকা: আগামী সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পল্টন থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে মুক্তিভবনের মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে নয়াপল্টনে চায়না টাউন মার্কেটের মালিক বেলালকে গ্রেফতার ও হকার্স নেতা দেলোয়ার হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম মামুন, শাহিনা আক্তার, রাকিব হোসেন, ফারুক হোসেন, মোস্তফা প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সেকেন্দার হায়াৎ বলেন, গত ৩০ বছর ধরে নয়াপল্টন সুপার মার্কেটের সামনে (বর্তমানে চায়না টাউন মার্কেট) ফুটপাতে বসে হকাররা জীবন-জীবিকা করে আসছেন। মার্কেটে দোকান পাওয়ার আশায় ৩০ বছর ধরে বেলাল সাহেবকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা দিয়ে আসছে যা কয়েক কোটি টাকা হয়েছে। চায়না টাউন মার্কেটের স্থাপনার কাজ শেষের দিকে। বেলাল সাহেবের নিকট হকাররা দোকান চাইলে উল্টো তাদের ৩০ বছরের আত্মকর্মসংস্থান থেকে উচ্ছেদ হতে হয়েছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে গভীর বিপাকে পড়েছেন হকাররা। সরকার বা সিটি করপোরেশনের কোনো নিদের্শনা ছাড়া কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কোন ক্ষমতার দাপটে বেলাল এই জঘন্য কাজ করেছেন?
লিখিত বক্তব্য বলা হয়, হকার্স ইউনিয়নের নেতা, পল্টনে বই বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেনকে ডিভি পুলিশ গত ১৩ জানুয়ারি ম্যাগাজিন পত্রিকা বিক্রির অপরাধে গ্রেফতার করেন। দেলোয়ারকে দিয়ে 'জজ মিয়া' নাটক সাজানোর ষড়যন্ত্র চলছে। দীর্ঘদিন জেলে থাকার ফলে দেলোয়ারের পরিবার অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় দিনাতিপাত করছে। দেলোয়ারের পরিবারের মামলা চালানোর সামর্থ্য নেই।
সংবাদ সম্মেলন থেকে হকার্দের ৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়, পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যাবে না এবং হকার আইন প্রণয়ণ করতে হবে, অবিলম্বে সন্ত্রাসী গডফাদার বেলালকে গ্রেফতার করতে হবে, হকারদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দিতে হবে, চায়না টাউন মার্কেটে হকারদের দোকান বরাদ্দ দিতে হবে এবং হকার্স নেতা দেলোয়ারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পল্টন থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
আরকেআর/এমআরএ