শেরপুর: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেষা খলচান্দা কোচপল্লীতে বন্যহাতির দল তাণ্ডব শুরু করেছে। এ নিয়ে পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১১১২ নম্বর ভারত সীমান্ত পিলার ডালুকোনা-খলচান্দা এলাকা থেকে ১১১৩ নম্বর সীমান্ত পিলার সমেশ্চুড়া এলাকার দিকে ওই বন্যহাতির দলকে তাড়িয়ে দেয়।
গ্রামবাসী জানায়, এখনো ক্ষয়ক্ষতি না করলেও রাতে যেকোনো সময় লোকালয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে ওই বন্যহাতির দল।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই এলাকায় বসবাসরত দুঃশাসন কোচ ও নির্মল কোচ বাংলানিউজকে জানান, সকালে তাদের বাড়ির উত্তর পূর্ব দিকের ডালুকোনা পাহাড়ে গরু চরাতে যান। বেলা ১২টার দিকে তারা হঠাৎ বন্যহাতির উপস্থিতি টের পান। এসময় হাতি তাড়ানোর জন্য তারা খলচান্দা কোচপল্লীতে খবর পাঠান। পরে বিকেলে গ্রামবাসী মিলে হাতাতালি, হৈ-হোল্লোর, চিৎকার-চেচামেচি ও হ্যান্ড মাইকের সাহায্যে শব্দ করে পশ্চিমের সমেশ্চুড়া গ্রামের পাহাড়ের দিকে হাতির দলটিকে তাড়িয়ে দেন। এখন ওই বন্যহাতির পালটি গলাচিপা পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে অবস্থান করছে। বন্যহাতির ওই দলটি যেকোন সময় খলচান্দ গ্রামসহ আশপাশের বাড়িগুলোতে তাণ্ডব চালাতে পারে।
তারা আরো জানান, ২০০১ সালের দিকে পাহাড়ী এলাকায় বন্যহাতির তাণ্ডব শুরু করে। প্রায় ২০ বছর অতিবাহিত হলেও সরকারিভাবে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যদিও মাঝে মধ্যে হাতি তাড়ানোর জন্য ডিজেল ও লাইট বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জের কর্মকর্তা আবদুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বন্যহাতির আক্রমণ থেকে জান মাল বাঁচাতে আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে। এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণকে হাতির আক্রমণ ঠেকাতে বন্যহাতির দলকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
এনটি