বরিশাল: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মেহেদী আল মেরাজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রবাসীর স্ত্রীর করা জামিন বাতিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ তা মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মেহেদী আল মেরাজ সোনালী ব্যাংক ভোলা চরফ্যাশন শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসাবে কর্মরত এবং নগরীর ২৮নং ওয়ার্ড কাশিপুর চহুতপুর ব্যারিস্টার বাড়ির মোসলে উদ্দিনের ছেলে।
বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কাশিপুর চহুতপুর এলাকার মেহেদী আল মেরাজের বাসায় ভাড়া নেন প্রবাসীর স্ত্রী। স্বামী বিদেশ থাকার সুবাদে মেহেদী আল মেরাজ বিভিন্ন সময় তার ভাড়াটিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ‘কু-প্রস্তাব’ দেয়।
ঘটনার দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রবাসীর স্ত্রী মেহেদী আল মেরাজের বাসায় ভাড়াটিয়া বাসার অগ্রিম টাকা দিতে যায়। এসময় মেহেদী আল মেরাজ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এছাড়া গত বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লে সে বিষয়টি মেহেদী আল মেরাজকে জানায় এবং তাকে বিয়ে করার জন্য বলে।
মেহেদী আল মেরাজ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ওষুধ খাইয়ে দুই মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলেন বলে অভিযোগ। পরে ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
এ ঘটনায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর এয়ারপোর্ট থানায় ধর্ষণের শিকার ওই প্রবাসীর স্ত্রী মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মেহেদী আল মেরাজ জামিন নেয়।
২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ব্যাংক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দেন।
বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য্যের তারিখে প্রবাসীর স্ত্রী ট্রাইব্যুনালে মেহেদী আল মেরাজের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
এমএস/জেআইএম