নাটোর: টাকা ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে নাটোরের লালপুরে আন্তঃজেলা মলম পার্টির সদস্য সুলতানকে (৪৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ গম ক্ষেতে ফেলে রেখেছিল সহযোগীরা।
নিহতের পকেটে পাওয়া মোবাইল ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তার ছোট ভাই এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।
মামলার সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও তদন্তের ধারাবাহিকতায় হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
এর আগে গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নাটোর পুলিশের একটি দল নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সুলতান হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি ছানোয়ার হোসেন ছানাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ছানোয়ার হোসেন বাগাতিপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লালপুর উপজেলার চুষাডাঙ্গা গ্রামের গম ক্ষেতের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পকেটে পাওয়া মোবাইল ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করলে তার ছোট ভাই এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও তদন্তের ধারাবাহিকতায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়। নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে অভিযান চালিয়ে ছানোয়ার হোসেনকে গতকাল গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরো জানান, নিহত সুলতান এবং তাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনরা আন্তঃজেলা মলম পার্টির সদস্য। অপর সদস্যরা টাকা ভাগাভাগির জেরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে গ্রেফতার সানোয়ার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২১
আরএ