ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীর পানি ব্যবস্থাপনা হবে পরিবেশবান্ধব: ওয়াসা এমডি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১
রাজধানীর পানি ব্যবস্থাপনা হবে পরিবেশবান্ধব: ওয়াসা এমডি ঢাকা ওয়াসার গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শন

নারায়ণগঞ্জ থেকে: রাজধানীর পানি ব্যবস্থাপনা হবে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা ওয়াসার গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তাকসিম এ খান বলেন, ‘সরকার আমাদের অনেক সামনের দিকে দেখছে। ২০৪১ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের যে পানি ব্যবস্থাপনা তা এর মধ্যে ঢেলে সাজাতে হবে। আমাদের পাঁচটা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। তারমধ্যে একটি গন্ধর্বপুর ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং ইনশাআল্লাহ এটি ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য, ঢাকা শহরের পানি ব্যবস্থাপনায় সারফেজ ওয়াটারের আধিক্য নিয়ে আসা ও পরিবেশবান্ধব করা। গন্ধর্বপুর ও সায়েদাবাদ ফেজ ৩ সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। অর্থাৎ ৭০ শতাংশ সারফেজ ওয়াটার এবং ৩০ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার। যেটি হবে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী। ‘

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রকল্প কাজ শুরু হয়। মাস্টার প্লান আগে হওয়ায় তখন যে ব্যয় ধরা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেকটা ব্যয় বেড়েছে প্রকল্পটিতে। পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণেও খরচ বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে সময়।

ওয়াসা এমডি বলেন, ‘আমাদের মাস্টার প্লান ২০১২ সালের। আমরা যে ট্রিটমেন্ট প্লান্টগুলো করবো, সেটা মাস্টার প্লানে ছিল। ২০১৫-১৬ সালে থেকে এর ড্রইং, ডিজাইন শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে আমরা ফান্ড পেয়েছি। তখন আমরা ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করি। এটির মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত ছিল। যেহেতু শুরুই হয়েছে দেরিতে তাই ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এটার মেয়াদ। ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় বেড়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের পয়সার কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। ২০১৩ সালের আউট লাইন স্টিমেট আমরা ২০১৮ সালে করেছি। এ কারণেও ব্যয় কিছুটা বেড়েছে। ‘ 
২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত দেড় বছরে কোভিড থাকার পরেও ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। হাতে প্রায় দুই বছর সময় আছে। এ সময়ের মধ্যে কাজ হতে হবেই। ‘

তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমাদের মোট পানির চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারছি। আমরা এখনি ২৬৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছি। সারফেজ ওয়াটার ৩৪ শতাংশ। ৬৬ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২১
এমএমআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।