ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমে হচ্ছে উড়াল সড়ক

দীপন নন্দী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১
ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমে হচ্ছে উড়াল সড়ক ...

ঢাকা: রাজধানীর যানজট কমাতে এর পূর্ব-পশ্চিমে উড়াল সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যানবাহন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করেই দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এবং চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলে চলাচল করতে পারবে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এটি নির্মাণ করবে। ইতোমধ্যেই সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) কাছে।

এ বিষয়ে সেতু বিভাগের সচিব বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানী ঢাকার পূর্ব ও পশ্চিম দুই অংশের যাতায়াতের জন্য এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ এক্সপ্রেসওয়েটি পদ্মা সেতুর পাশাপাশি দেশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর ফলে ঢাকায় প্রবেশ না করেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যানবাহন দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এবং চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলে চলাচল করতে পারবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি পিপিপির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য আমাদের বেইজিংস্থ দূতাবাসের মাধ্যমে চীনা একটি সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করতে আলোচনা করব।

প্রকল্পটির নির্মাণের কারণ উল্লেখ করে সেতু বিভাগের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রস্তাবিত ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি জাতীয় মহাসড়ক এনফাইভ (ঢাকা-আরিচা), এনএইট (ঢাকা-মাওয়া) এবং এনওয়ান (ঢাকা-চট্টগ্রাম) এর সাথে সংযুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসমূহের যানবহনসমূহ ঢাকা শহরে প্রবেশ না করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি জেলায় সরাসরি চলাচল করতে পারবে। এর ফলে ঢাকা ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার যানজট অনেকাংশে হ্রাস পাবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সাথেও সংযুক্ত হবে।

প্রস্তাবিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানে বর্ণিত মিডিল/আউটার রিং রোডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্টটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর হতে শুরু হয়ে নিমতলী-ফতুল্লা-ইকুরিয়া-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে মিলিত হবে।

বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে সেতু বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বালিয়াপুর থেকে নিমতলী-কেরানিগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

২০১৭ সালে প্রকল্পটির সমীক্ষা করা হয়। সে সময় প্রকল্পটি জিটুজি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পেয়ে এবার পিপিপির ভিত্তিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সমীক্ষার সময় চার লেনের এ উড়ালসড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ২৪ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ র‌্যাম্প করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ৩৪০ দশমিক ৭৩৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জমির দাম, স্থাপনা ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ সরকার নিজস্ব বাজেট থেকে বহন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
ডিএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।