চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার তারালিয়ায় বিয়ের নয় মাসের মাথায় যৌতুকের দাবিতে মিশু আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রাসেলকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতের কোনো এক সময় ওই গ্রামের সর্দার বাড়িতে হত্যার শিকার হন মিশু।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
রাসেল হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির ওসমান গণির ছেলে।
হত্যার শিকার মিশু মৈশামুড়া গ্রামের ইয়াছিন মিয়া বেপারী বাড়ির লাল মিয়ার মেয়ে।
মিশুর মা মরিয়ম বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বাংলানিউজকে বলেন, মাত্র নয় মাস আগে রাসেল ও মিশুর বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। বিয়ের পর স্বামী ঢাকায় চলে যায়। শনিবার সকালে মিশু আমাদের বাড়ি থেকে তার শ্বশুর বাড়ি যায়। একই দিন তার স্বামীও ঢাকা থেকে তাদের বাড়ি আসে। রোববার সকালে জামাইয়ের বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় যে মিশু অসুস্থ। এ খবর পেয়ে আমরা তাদের বাড়ি গিয়ে শুনি, মিশুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে মিশুর মরদেহ দেখতে পাই।
তিনি বলেন, আমার কাছে যৌতুক হিসেবে দুই লাখ চেয়েছিল রাসেল। আমি এক লাখ টাকা দিয়েছি। বলেছি, নিকাহনামা রেজিস্ট্রি হলে আরও এক লাখ টাকা দেব। কিন্তু তার আগেই যৌতুকের টাকার জন্য মিশুর স্বামী রাসেল, শ্বশুর ওসমান গণি, মামা শ্বশুর মহিনউদ্দিন নির্মমভাবে পিটিয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
অভিযুক্ত রাসেল সাংবাদিকদের জানান, মিশু রাতে আলাদা রুমে ছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি তার মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখেন। এ অবস্থায় তারা মিশুকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বাংলানিউজকে বলেন, মিশুর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১
এসআই