ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দাফনের তিনমাস পর গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১
দাফনের তিনমাস পর গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন

গাইবান্ধা: আদালতের নির্দেশে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় গৃহবধূ রচনা রানী রুপার মরদেহ উত্তোলন করে বগুড়ায় নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের ডিমলা পদুমশহর গ্রামের কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

গৃহবধূ রুপা সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের ডিমলা পদুমশহর গ্রামের রতন চন্দ্র মহন্তের মেয়ে এবং বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকার সংকরপুরে গ্রামের আনন্দ চন্দ্রের ছেলে অনিকের স্ত্রী।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থল ও মামলাটি শিবগঞ্জ থানার। দুপুরে ওই থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের ৬ নভেম্বর শিবগঞ্জ থানায় করা একটি হত্যা মামলায় সম্প্রতি আদালত রচনা রানী রুপার মরদেহ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গৃহবধূ রুপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে বগুড়ায় আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রচনা রানী রুপার সঙ্গে অনিকের বিয়ে হয়। বিয়েতে সাড়ে ছয় লাখ যৌতুক দেন রতন চন্দ্র। বিয়ের পর অনিক স্ত্রী রুপাকে বাবার বাড়ি থেকে ১৫ লাখ টাকার জন্য চাপ দেন। পরবর্তীকালে রুপা টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ নভেম্বর শ্বশুরবাড়ি থেকে রুপার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ৬ নভেম্বর রুপাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে তার বাবা শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।