ঢাকা: ঢাকার বাসা-বাড়ির বর্জ্য টেন্ডারের মাধ্যমে পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের প্রতিটি ওয়ার্ড টেন্ডারের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালিত করছে।
টেন্ডারের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করলে দুই সিটিতে ১৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ হারিয়ে পথে বসবে বলে দাবি করছে প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি)।
পিডব্লিউসিএসপি জানায়, দক্ষিণে টেন্ডারের বর্জ্য অপসারণের কারণে ১০ হাজার কর্মী পথে বসেছে। উত্তরে টেন্ডার হলে আরো ৯ হাজার কর্মী কাজ হারাবে। ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে এসব কর্মী কাজ করছেন। মাসে বস্তির বাসায় ময়লা বিল বাবদ ২০ টাকা, টিনশেডে ৫০ টাকা ও ভবনে ৮০ টাকা নেওয়া হয়। এই টাকা দিয়েই এসব পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বেতন দেওয়া হয়। বেতন ছাড়াও গাড়ি ও ভ্যান ভাড়া, ডাস্টিবিনে ময়লা ফেলতে হলেও টাকা দেওয়া লাগে। সাড়ে চার হাজার ভ্যানগাড়ি প্রতিদিন মেরামত করা হয়। ময়লা টানার কারণে এগুলো নষ্ট হয়। গড়ে উত্তর ও দক্ষিণ সাড়ে ৭ হাজার টন ময়লা সংগ্রহ করা।
সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশও করবে পিডব্লিউসিএসপি।
প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডারের (পিডব্লিউসিএসপি) সভাপতি নাহিদ আক্তার লাকী বাংলানিউজকে বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ করা হলে আমাদের ১৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ হারিয়ে পথে বসবে। তাই দুই সিটিকে তাদের অবস্থান পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি। গরিব মানুষেরা ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে ময়লা টানছে হঠাৎ চাকরি হারালে তারা পথে বসবে। প্রতিটি কর্মীর বাড়িতে সদস্য সংখ্যা পাঁচজনের কম হবে না।
তিনি আরো বলেন, গরিব মানুষ দুই বেলা ভাতই খেতে পারে না। তারা টেন্ডারে কীভাবে অংশ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
এমআইএস/এএ