পাবনা: প্রতিবছরের মতো এবারও পাবনায় শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী পুষ্পমেলা। (০৮ ফেব্রুয়ারি) সোমবার বিকেলে পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি) চত্বরে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পাবনা সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান রশিদ হুসাইন-এর সঞ্চালনায় পুষ্পমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল কাদের। এসময় আরো উস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শহীদুর রহমান, জেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল রশিদ, নার্সারী মালিক সমিতির সদস্য ও উদ্যোক্তা কামাল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নার্সারী মালিকদের পক্ষে করোনাকালীন সময়ের জন্য প্রতিটি নার্সারী মালিকদের প্রণোদনাসহ বিশেষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফুলের গাছ আগে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের বাড়িতে দেখা যেত। এখন প্রতিটি মানুষের বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ, বারান্দা এমনকি অফিস আদালতেও ফুল গাছের দেখা মেলে। ফুল আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মানুষকে বৃক্ষ লাগাতে বলেছেন। আমরা ফলজ ও বনজ গাছের পাশাপাশি এখন ছাদ বাগান করছি। প্রকৃতির সাথে আমাদের দারুণ একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কাউকে ভালোবাসা বোঝানোর জন্য ফুলের বিকল্প নাই। আগে শখের জন্য বাগান করা হতো, আর এখন সেটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। নার্সারী মালিকরা এখন বেশ ভালো উপার্জন করছে এই ফুলের গাছ বিক্রি করে। তবে করোনাকালীন সময়ে এই নার্সারী মালিকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের সরকারি ভাবে প্রণোদনা দেয়ার জন্য আমি কৃষি সম্প্রসারাণ অধিদপ্তরসহ সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।
পাবনা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও পুষ্পমেলা বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে এবারের মেলাতে ২০টি নার্সারী এই মেলাতে অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন প্রজাতের ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
আলোচনা সভা শেষে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নার্সারী মালিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। পরে প্রধান অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সকলে মেলা প্রঙ্গণ প্রর্দশন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
এমকেআর