ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বড় মাথার বায়জিদের চিকিৎসা করাতে আর্থিক সমস্যায় বাবা-মা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
বড় মাথার বায়জিদের চিকিৎসা করাতে আর্থিক সমস্যায় বাবা-মা ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: জন্ম থেকেই দেহের তুলনায় অস্বাভাবিক বড় মাথা ৮ মাস বয়সী শিশু মো. বায়জিদ হোসেনের। দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ জালাল সরদার ও তার স্ত্রী মা রুমানা বেগম বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েও সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

তবে সম্প্রতি ৮ মাসের শিশু সন্তান বায়জিদের চিকিৎসা করানোর ভরসা পেয়েছেন তার বাবা-মা।  কিন্তু অর্থাভাবে তা নিয়েও হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা।

জানা গেছে, ঢাকায় নিউরো সায়েন্সস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে বায়জিদের। তবে সেটা ব্যয়বহুল হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না তার পিতা জালাল সরদারের পক্ষে। এই জন্য তিনি সহযোগিতা চেয়েছেন সরকার প্রধান ও সমাজের বিত্তশালীদের কাছে।

বরিশাল নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটারখাল সংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা জালাল সরদারের ফুটপাতে সিঙ্গারার দোকান ছিল। তবে করোনার থাবায় সেই দোকান নিয়ে যে তার স্বপ্ন ভেঙেছে তা এখনও আর বুনতে পারেননি তিনি।  

এদিকে করোনার সময়ে জন্ম হয় তার ছোট সন্তান বায়জিদের। যার মাথা জন্মের সময় থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড়। এরপর থেকে তার চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত দরিদ্র জালালের এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।  অপরদিকে তার আরও দুটি সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে ১০ বছর বয়সী জুবায়ের হোসেন মঠবাড়িয়ার মারকাস কেরামতিয়া মাদরাসায় পড়াশুনা করে এবং জুনায়েদের বয়স চার বছর।

এখন অনেকটাই নিস্তেজ জালাল সরদার জানান, করোনায় দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর সেটি গড়তে পারেননি। তাই এখন দিনমজুরের কাজ করে পরিবারের জন্য ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করেন কোনোমতে। এখন আর সম্ভব হচ্ছে না শিশু সন্তানের চিকিৎসার ব্যয় চালানো।

তিনি চিকিৎসকেদর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, বায়জিদের সমস্যা হলো, ও যে খাবার খাচ্ছে তা মাথায় গিয়ে জমা হচ্ছে। মাথায় জল জমে থাকায় দিনদিন মাথা আরও বড় হচ্ছে। জন্মের সময় বায়জিদের মাথা ছিল শরীরের চার ভাগের তিনভাগের মত। এখন আরও বড় হয়েছে। আর খাবার ঠিকমত খেতে পারলেও মাথা নাড়াতে পারছে না বায়জিদ। চিকিৎসকরা বলেছেন, দ্রুত চিকিৎসা করাতে এবং ওই চিকিৎসার জন্য দুই থেকে আড়াইলাখ টাকার প্রয়োজন হবে। অপারেশন করতে হবে ঢাকা নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে। তাহলে মাথা স্বাভাবিক আকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

বায়জিদের মা রুমানা বেগম বলেন, কিছুদিন আগেও ওর চিকিৎসার জন্য টানা ১১দিন শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাদের। চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে, যা বহন করা এখন সম্ভব হচ্ছে না। এ মুহুর্তে সহায়তা ছাড়া সন্তানের চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে না বলে জানান এই দম্পতি।

এ শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. উত্তম কুমার সাহা বলেন, এ ধরনের রোগীদের অস্ত্রোপচার রাজধানীর নিউরো সায়েন্সস হাসপাতালে হয়ে থাকে। সে জন্য বায়েজিদকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
এমএস/ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।